গায়ে এক বস্তা গয়না আর শরীরে ভাঁড়ি পাথরের কাজ করা শাড়ি আর ওড়না পড়ে এক হাত ঘুমটা টেনে বসে আছি আমি বাসর ঘরে। যদিও রুমটাকে দেখে বাসর ঘর বলা যায় না। কেননা বাসর ঘরের মতো এই রুমটাকে একটুও সাজানো হয়নি। তবে রুমটা বিশাল বড় আর অনেক বেশি সুন্দর। রুমের মাঝের জিনিসগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ বড় পরিবারের বউ হয়ে এসেছি আমি। রুমে সব জিনিসগুলোই কেমন জানি অদ্ভুত ধরনের সুন্দর। যাকে বলে মন কারা ও চোখ ধাঁধানো সুন্দর। প্রতিটি জিনিসে লেগে আছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। তবে আমি একটা কথাই বুঝতে পারছি না যে ওনারা বিয়েতে আমায় এত এত গয়না আর দামি জামাকাপড় দিয়েছে অথচো বাসর ঘরটা একটুও সাজায়নি কেনো? যদিও এটা নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নাই। কারন আমার বিয়েটা হঠাৎ করেই দিয়ে দিলো আব্বু। কাল পর্যন্ত আমি জানতাম না যে আজকে আমার বিয়ে। আজ সকালে যখন জানতে পারলাম বিয়ের ব্যাপারে বেশ অবাক হয়েছিলাম তখন আমি। কারন এক দিনের মাঝে কি করে কারো বিয়ে ঠিক হয়। আর আমি ছেলেকে বা ছেলে আমাকে কেউ কাউকে দেখিও নি একবার।
তার চাইতেও বড় কথা তিন দিন আগে আমার আদরের ছোট ভাই অদ্ভুত ভাবে মারা গেছে। আমরা কেউ জানিনা ওর মৃত্যুর সঠিক কারন। আমার ভাই ইয়াসীনই ছিলো আমার একমাত্র বন্ধু আর খেলার সাথী। অনেক বেশি ভালবাসতাম ওকে আমি। ওর মৃত্যুটা আমি এখনো মেনে নিতে পারিনি। আমি জানিনা কেনো ইয়াসীন মারা যাওয়ার তিন দিন পার হতে না হতে আব্বু আমায় বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করলেন। আমিও আর আব্বুর মুখের ওপর না করতে পারিনি। কারন আব্বুকে আমি জমের মতো ভয় পাই। যদিও আব্বু কখনো আমার গায়ে হাত তোলেনি অনেক বেশি ভালবাসেন আমায়। কিন্তু জানিনা কোনো খুব বেশি নজর রাখতো আব্বু আর আম্মু আমার ওপর। কখনো কোথাও একা যেতে দিতো না। সন্ধার সময় ছাদে উঠতে দিতো না। জানালার ধারে যেতে দিতো না। আর আমি এত বড় হয়ে যাওয়ার পরেও আম্মু রাতে আমার কাছে ঘুমাতেন, তাও আবার সারারাত আমার হাতটা নিজের হাতের মাঝে ধরে রাখতেন আম্মু।। কখনো আমায় একা ঘুমাতে দিতেন না।
আমার নাম সোনালী আক্তার চাঁদনী, ভালবেসে আব্বু আম্মু সব সময় আমায় শুধু চাঁদনী বলেই ডাকে। আর আমার ভাই ইয়াসীন আমায় ডাকতো চাঁদনীপু বলে। আমি সারাক্ষণই ঝগড়া করতাম ইয়াসীনের সাথে। সব সময় ইয়াসীন আর আমি মিলে আম্মুকে জ্বালিয়ে মারতাম। কিন্তু আব্বুকে দেখলেই দুজনে একদম দুধে ধোয়া তুলশি পাতা হয়ে যেতাম। যেনো আমাদের মতো নিরিহ আর কেউ ছিলো না।
আমরা যে বাসায় থাকতাম সেই বাসাটা শহর থেকে একটু দুরে নিরিবিলি একটি জায়গায়। আমাদের বাড়ির আশেপাশে আর কোনো বাড়ি নেই বললেই চলে। আমাদের বাড়ির কেউ কারো বাড়ি যেতাম না আর কেউ আমাদের বাড়ি আসতো না। তাই ইয়াসীনই ছিলো আমার ভাই বন্ধু ও খেলার সাথী। কিন্তু হঠাৎ কি থেকে কি হয়ে গেলো জানিনা। তিন দিন আগে সন্ধার সময় ইয়াসীন আর আমি কতো দুষ্টুমি করছিলাম মজা করছিলাম। মজা করতে করতে হঠাৎ আমি খেয়াল করি বাইরে কেমন ঝড় উঠে আসছে। তাই কি মনে করে গিয়ে আমি জানালা খুলে বাইরে উকি দেই। আর তখনি একটা বাদুর জানালা ভেদ করে রুমে ঢুকে পরে আর আমার মাথার ওপর দিয়ে ঘুরতে থাকে। বাদুরটার চোখগুলো অসম্ভব লাল আর ভয়ানক দেখতে ছিলো। আমি ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠি বাদুরটা দেখে। আমার চিৎকার শুনে ইয়াসীন বাদুরটাকে একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করে। সেই সময়েই কোথা থেকে যেনো আব্বু এসে বাদুরটার ওপর কিছু একটা ছুরে দেয়। সম্ভবত পানি ছিলো জিনিসটা। বাদুরটা সাথে সাথে চেঁচাতে চেঁচাতে জানালা দিয়ে বাইরে চলে যায়। আর আব্বু জানালা বন্ধ করে দিয়ে আমায় অনেক বকা দিয়েছিলো। এর আগে আব্বু কখনো আমায় ঐ ভাবে বকেনি।
তারপর রাতে সবাই প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক ভাবেই ঘুমিয়ে পরি। কিন্তু সকালে যখন ঘুম থেকে জেগে উঠি তখন শুনতে পাই আব্বু আর আম্মুর চাপা কান্না। আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না তখন। ধিরো পায়ে এগিয়ে যাই আমি আব্বু আম্মুর কাছে। আর গিয়ে সামনে যা দেখতে পাই তাতে যেনো আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরে। পায়ের নিচের মাটি সরে যায় আমার। কারন সামনে আমার আদরের ভাই ইয়াসীনের ক্ষতবিক্ষত লাশ পরে ছিলো। ইয়াসীনকে দেখে মনে হচ্ছিলো যেনো ওকে কোনো ভয়ানক জন্তুজানোয়ারে ছিঁড়ে ঘুবলে খেয়ে মেরেছে। ইয়াসীনের এমন অবস্থা দেখে তখন সহ্য করতে পারিনি আমি। মাথা ঘুরে পরে গিয়েছিলাম নিচে।
আম্মুর কাছে পরে জানতে পারি রাতে নাকি কোনো ভয়ানক জঙলি পশু বাসার ভিতর ঢুকে ইয়াসীনকে এভাবে মেরেছে। যদিও কথাটা আমার ঠিক বিশ্বাস হয়নি তখন তবুও মেনে নিতে হয়েছিলো।
কেনো জানিনা আব্বু খুব দ্রুতো ইয়াসীনের লাশটা জানাজা করে কবর দিয়ে দেন। তারপর থেকে আমাদের বাসাটা একদম নিরব নিস্তব্ধ হয়ে যায়। তবে আমার ওপর নজরটা যেনো আর একটু বাড়িয়ে দেন আব্বু আম্মু। যদিও আমি এটার কোনো কারন সঠিক জানিনা। তবে মনে হয়েছিলো ইয়াসীনকে হারানোর পর আমায় হারানোর ভয়ে হয়তো আব্বু আম্মু এমন করছেন।
ইয়াসীন মারা যাওয়ার তিন দিন যেতে না যেতে আজকে হঠাৎ করেই আমার বিয়ে দিয়ে দিলেন আব্বু আম্মু। না চাইলেও আব্বুর মুখের ওপর মানা করতে পারিনি আমি। আমি জানিও না আমার কার সাথে বিয়ে হয়েছে। সে দেখতে কেমন বা তার বাসার লোকই বা কেমন কিছুই জানিনা আমি।
তবে যখন আব্বু আমার হাত আমার বরের হাতে দিয়ে আমার দ্বায়ীত্ব ওনার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তখন আমি ওনার হাতটা শুধু দেখেছিলাম। অনেক বেশি ফর্সা ছিলো ওনার হাতটা। আর বেশ নরমও ছিলো। আমি তখনো ওনার মুখ দেখিনি। গাড়িতে শশুড় বাড়ি আসার সময়ও দুজন দুজনের সাথে একটা কথাও বলিনি। এখানে আসার পর একজন বৃদ্ধ মহিলা আমায় বরন করেন। সম্ভবত উনি আমার দাদিশাশুড়ি হন সম্পর্কে। আমি তার দিকেও তাকাইনি। কারন আমার মনে অনেক বেশি কষ্ট আর অভিমান বাসা বেধে ছিলো।
,
,
হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে চিন্তার জগত থেকে ফিরে এলাম আমি। উনি রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলেন। ওনার উপস্থিতি বুঝতে পেরে আমি মাথার ঘুমটা টা আরো একটু সামনে এগিয়ে দিয়ে গুটিসুটি মেরে বসে রইলাম। উনি দরজা লাগিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন দেখে আমি ওনাকে সালাম দেওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। কিন্তু আমি কিছু বলার আগেই উনি বলে উঠলেন
-- আসসালামু আলাইকুম,
ওনার সালাম দেওয়া শুনে আমি কিছুটা ইতস্ততা বোধ নিয়ে সালামের উত্তর নিলাম।
-- ওয়ালাই কুমুসসালাম, আসসালামু আলাইকুম।
আমি পাল্টা সালাম দেওয়ায় উনি হয়তো কিন্চিৎ হাসলেন। ঘুমটার নিচ থেকেও ওনার হাসিটা আমি বেশ বুঝতে পাড়ছি। উনি আমার পাশে এসে বসে বলে উঠলেন
-- আমি খুব দুঃখিত চাঁদ তোমায় অনেক্ষন একা বসে থাকতে হলো তাই। আসলে বাইরে একটু কাজ ছিলো তাই আসতে একটু দেরি হয়ে গেলো।
ওনার কথা শুনে আমি কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ করে বসে রইলাম। আমায় চুপ থাকতে দেখে উনি আমার ঘুমটাটা সরিয়ে দিলেন। তারপর আমায় থুতনিতে হাত রেখে মুখটা উচু করে ধরে এক পলক দেখেই মাশাআল্লাহ বলে চোখ সরিয়ে নিলেন অন্যদিকে । কিন্তু আমার চোখটা ওনার দিকেই আটকে গেলো। আমি বুঝতে পারছি না আমার সামনে যিনি বসে আছেন তিনি কোনো মানুষ নাকি অন্য কিছু। কোনো পুরুষ যে এত সুন্দর হতে পারে আমার জানা ছিলো না। যাকে বলে ভয়ানক সুন্দর।
ছয় ফুটের মতো লম্বা, একদম দুধের মতো সাদা গায়ের রং, মুখে চাপ দাড়ি, চোখ দুটোতে যেনো মায়ার ছড়াছড়ি, চোখের মনি দুটো গাড়ো খয়েরী রঙের, মাথার চুলগুলো কুচকুচে কালো, নাকটা তীরের মতো চৌকা। পড়নে সাদা রঙের গোল্ডেন কালার কারুকাজ করা শেরওয়ানী। ওনাকে দেখে আমি যেনো সব কিছু ভুলে গেছি। নির্লজ্জের মতো হা করে তাকিয়ে ওনাকে পর্যবেক্ষন করছি আমি। আর ভাবছি এটা কোনো মানুষ নাকি পুরুষ হুর বসে আছে আমার সামনে।
আমাকে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে উনি মুচকি হেসে অন্য দিকে তাকিয়েই বলে উঠলেন
-- আমাকে নিয়ে গবেশনা করা শেষ হয়ে থাকলে ওজু করে এসো চাঁদ এক সাথে নামাজ পড়বো।
ওনার কথায় অনেক বেশি লজ্জা পেলাম আমি। সত্যিই তো কেমন বেহায়ার মতো তাকিয়ে ছিলাম আমি ওনার দিকে। লজ্জায় মাটির নিচে চলে যেতে ইচ্ছা করছে আমার এই মুহুর্তে। আমাকে লজ্জা পেতে দেখে উনি আবারও হালকা হেসে বলে উঠলেন
-- এত লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই চাঁদ যাও ফ্রেশ হয়ে ওজু করে এসো দুজন এক সাথে নামাজ আদায় করবো।
ওনার কথা শুনে আমি লজ্জা মাখা মুখ করে নিচের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম
-- আমার নাম চাঁদ নয় চাঁদনী।
আমার কথা শুনে উনি এবার একটু জোরেই হেসে দিলেন। তারপর বললেন
-- আমি জানি তোমার নাম সোনালী আক্তার চাঁদনী, কিন্তু আমি তোমায় চাঁদ বলে ডাকবো। শুধুই চাঁদ বুঝলে?
ওনার কথা শুনে মনে মনে খুব রাগ হলো আমার। আমি রাগ করে মনে মনে বললাম
-- ইশশ এসেছে আমায় চাঁদ বলে ডাকতে, কেনো রে আমার কি নাম নাই নাকি যে আমায় নতুন নাম দিতে হবে। আর একটুতেই এত হাসির কি আছে। এত সুন্দর বলে কি সব সময় হাসতে হবে নাকি। আমিও তো কম সুন্দরী নই অথচ আমার দিকে একটু ভালো করে দেখলোও না কত্ত অহংকার হুহহ। মনে মনে
আমার মনের কথাগুলো উনি হয়তো শুনে নিয়েছেন। তাই নরম কন্ঠে বলে উঠলেন
-- কিছু কিছু সময় নিজের চাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রন রাখতে হয়। নইলে উদ্যেশ্য হাসিল করা যায় না। দেখা দেখির অনেক সময় পাবো জীবনে আল্লাহ চাইলে। এখন যাও ওজু করে এসো নামাজ পড়বো।
ওনার কথা শুনে শুকনো ঢোক গিললাম আমি। আমার মনের কথা কি করে বুঝতে পারলেন আল্লাহই জানেন। কিন্তু আমি এখন ফ্রেশ হবো কি করে। যেমন ভাঁড়ি ভাঁড়ি গহনা আর শাড়ি পড়ে আছি আমি। তাতে এগুলো নিয়ে আমার জন্যে উঠে দাড়িয়ে থাকাই মুশকিল। নামাজ পড়বো কি করে।
আমায় অবাক করে দিয়ে উনি বলে উঠলেন
-- এসব পড়ে তোমায় নামাজ পড়তে হবে না। ঐ আলমারিতে দেখো তোমার জন্যে অনেক জামা কাপড় রাখা আছে। সেখান থেকে একটা নিয়ে চেঞ্জ করে এসো।
আমি অবাক হয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে গেলাম। মুখে কিছু বললাম না। তবে মনের মাঝে কেমন প্রশ্ন বাসা বাধলো। উনি আমার মনে মনে কথা বলা বুঝে যাচ্ছেন কি করে?
মনের প্রশ্ন গুলো মনেই রেখে আলমারির কাছে এগিয়ে গেলাম। তারপর আলমারি খুলতেই আমি আরো বেশি অবাক। আলমারিতে অনেকগুলো শাড়ি, সালোয়ার কামিজ আর সুন্নতি পোষাক রয়েছে। আর আশ্চর্য জনক ভাবে সব গুলোই আমার সাইজের।
আমি নিজেকে সামলে নিয়ে একটা অনেক সুন্দর হলুদ রঙের সালোয়ার কামিজ বের করলাম পড়ার জন্যে। কিন্তু গায়ের গয়না গুলো খুলতে গিয়েই পড়লাম মহা বিপাকে। একা একা এত গয়না খোলা যায়। মনে মনে ওনাকে বকা দিয়ে বলতে লাগলাম
-- ইশশ কেমন অলস লোকের সাথে বিয়ে দিয়েছে আব্বু আমায়। আরে যদি গয়নাগুলো খুলতে সাহায্যই না করবি তাহলে এত এত গয়না দেওয়ার দরকার কি ছিলো।
আমার মনের কথা মনে শেষ হওয়ার আগে উনি নিজে থেকে এসেই আমায় গয়নাগুলো খুলতে সাহায্য করতে লাগলো। গয়নাগুলো খুলে দিতে দিতে বললেন
-- আমাকে বললেই হতো গয়না খুলতে সাহায্য করো। মনে মনে বকা দেওয়ার কি আছে চাঁদ?
ওনার কথা শুনে আমি ওনার দিকে ঘুরে বড় বড় করে তাকালাম। তারপর তুতলিয়ে বললাম
-- আ আপনি আ আমার ম মনের কথা শুনে নিয়েছেন? কিন্তু কি করে?
আমার কথার উত্তরে উনি আবারও সেই মুচকি হাসলেন কিন্তু মুখে কিছুই বললেন না। উফফ জাস্ট বিরক্তিকর। কথায় কথায় এত হাসির কি আছে বুঝলাম না। তার ওপর ওনার এমন মারাত্মক সুন্দর চেহারার হাসিতে যেনো পাগল পাগল লাগছে আমার। ইচ্ছা করছে ওনার গালটা একটু টেনে দেই। বজ্জাত টা না বুঝে হেসেই চলেছে ধুর ভাল্লাগে না।
কথাগুলো মনে মনে বলতে বলতেই গয়না খোলা শেষ করে জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম আমি। যাওয়ার আগে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম উনি হাসছেন। উফফ এত হাসির কি আছে বুঝিনা বাবা।
ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে হতে ওনাকে বকার সাগরে ভাসিয়ে দিলাম। রাগটা যেনো মাথায় চরে গেছে আমার।
একটু পর ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে এলাম ওয়াশরুম থেকে। বেড়িয়ে দেখি উনি দুইটা জায়নামাজ বিছিয়ে আমার জন্যে অপেক্ষা করছেন। আমিও আর দেড়ি না করে ওনার সাথে নামাজে দাঁড়ালাম,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
গল্পটা আমার লেখা সব গল্পের চাইতে একদম ভিন্ন একটা গল্প হবে। গল্পটাতে থাকবে রহশ্য, রোমান্টিক, ফানি, ইমোশন ও ভৌতিকতা। প্রথম পর্ব কেমন লাগলো জানাবেন সবাই। গল্পে সারা না পেলে নেক্সট পর্ব আর লিখবো না।ধন্যবাদ
Post a Comment
Post a Comment