অচেনা পাখি ২


সেই যে চলে গেলো মিষ্টি রোজা আর দেখা হলো না। এই ভাবে আরো কয়েক মাস চলে গেল দুজনের মাঝে আর কোন দেখা নেই।   সামনে আমার এইস এস সি পরিক্ষা, আমাদের বাসা থেকে সবাই আমাকে বললো তিন মাস যেন আমি বাহিরে   থাকি এবং ভালো একটা  কোচিং সেন্টারের ভর্তি  হওয়ার জন্য বলে। আমি পরিবার কথা মত কোচিংসেন্টারের ভর্তি হলাম। কোচিং সেন্টারের পাশে যে মিষ্টি পাখিটির বাসা জানতাম না।  এক দিন বিকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে  এক বন্ধুর সাথে ঘুরতে বের হলাম, এক মাঠের  পাশে দিয়ে হেটে যাওয়া সময় দেখি রোজা  ইস্কুল থেকে বাড়িতে যাচ্ছে। আমাকে দেখে রোজা ছালাম দিলো আর বললো কেমন আছেন, চলেন আমাদের বাসায় যায়, তখন আমি কিছু বলার আগে আমার বন্ধু বলে আজ না, পড়ে কোন একদিন যাওয়া যাবে। রোজা শুধু জানতে চাইলো কোথায় উঠেছি। কয়েক দিন পর আমি  হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যায়।  রোজা তার মাকে গিয়ে আমার কথা তার
কে বলে, তার মা শুনে আমাকে দেখতে আসে। আমার অবস্থা দেখে আমার কোচিং মাষ্টার কে বলে ভাই আমার বোনের ছেলে কে আমি বাসায় নিয়ে যাব। বাসায় নিয়ে গিয়ে দুজনে মিলে আমাকে সুস্থ করে তুলে। আমি এখন রোজা দের বাসা থেকে কোচিং করি। এক দিন বিকাল বেলা খালা বাসায় নেই তখন আমি রোজা কে বললাম  তোমাদের গ্রামটা ঘুরে দেখাবে, রোজা বললো চলেন  ঘুড়া ঘুড়ি করতে করতে এক সময় রোজা আমাকে বললো আমি আপনাকে একটা কথা বললো, আমি বললাম কি,?  রোজা বললো তুমি মাকে কিছু বলো,, আমি তোমাকে  ভালো বাসি। আমি বললাম তুমি কি ভেবে বলেছো রোজা জি, আমি তখন বললাম আমি ও তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু কি করে বলবো বুঝতে পারছিলাম। এই ভাবে আরো দুই মাস কেটে যায়। কয়েক দিন পর আমার পরীক্ষা আমাকে     তাই আমাকে বাসায় যেতে হবে, যাওয়ার আগের রাতে রোজা আমাকে জরিয়ে ধরে বললো তুমি বাসায় গিয়ে কি আমাকে ভুলে যাবে। আমি তখন তাকে বুঝালাম যে এক মাস পরে আবার দেখা হবে আমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষা  দেওয়ার জন্য তো আবার কোচিং করতে এখানে আসতে হবে বলে চলে এলাম। এই দিকে আমার পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। প্রথম পরীক্ষার দিন আমার  পরীক্ষা সেন্টারের আসে। এই দেখা যে শেষ দেখা হবে তখন আমি কি জানতাম। আমার পরীক্ষা শেষ। তার পরের দিন সকালে চাচী মানে রোজার খালা আমাকে বললো রনি তোমার তো এখন কোন কাজ নেই তাহলে চলো তোমার সুফিয়া খালার মেয়ে কে দেখে আসি চাচী মানে  রোজার কি হয়েছে কয়েক জন যুবক নাকি রোজা কে প্রামের  কথা বলে না শুনায় তাকে ইস্কুল থেকে আসার সময় রোজা ছুরি দিয়ে আগাত করে, এখন রোজা হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি তখন বললাম চাচী চলেন তারা তারি। হাসপাতালে গিয়ে দেখি ওর অবস্তা  একেবারে খাবার। রোজা আমাকে বললো রনি তোমার কাছে আমার একটা কথা আছে  মাকে রনির হাতে তুলে দিয়ে বলে আমি তো তোমার সাথে ঘড় করতে পারলাম না আমি যখন চলে যাব তখন তুমি আমার মাকে  দেখো। রোজার মৃত্যুর পর থেকে আজো রনি রোজার মাকে নিজের মায়ের মত ভালোবাসে  আসলে এটাই কি প্রকৃত ভালোবাসা।
লেখক -মাঝ রাতের প্রতৃক                                                                  

Post a Comment