বাবা মায়ের ভালবাসা

একদিন ১১ বছরের এক বালিকা তার বাবাকে বললো,
বাবা! আমার ১৫তম জন্মদিনে আমাকে কি দিবে?
বাবা বললেন, এখনো তো অনেক সময় আছে…দেখা যাক… মেয়েটির ১৫তম জন্মদিনের কিছুদিন আগে হটাৎ একদিন সে অজ্ঞান হয়ে গেলো.. দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো…ডাক্ মেয়েটিকে পরীক্ষা করলো…
মেয়েটির বাবাকে বললো, আপনার মেয়ের হার্টে একটি ছিদ্র ধরা পড়েছে.. দ্রুত হার্ট পরিবর্তন না করলে তাকে বাচাঁনো যাবে না…
যখন বাবা মেয়েকে দেখতে গেলো…
মেয়ে বাবা! আমি কি মারা যাবো?
বাবা বললেন, না, তুমিশীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে।
মেয়ে:- তুমি কিভাবে জানো?
ডাক্তার বলেছে আমার হার্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
বাবা:- আমি জানি মা, তুমি অবশ্যই সুস্থ হয়ে যাবে। .
.
.
মেয়েটি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসারপর একসময় সুস্থ হয়ে বাসায় আসলো…এর মধ্যেই তার বয়স ১৫ বছর হয়ে গেলো…
বাসায় আসার পরে মা তাকে একটি চিঠি পড়তে দিল বাবার লিখা…
.
.
“প্রিয় মা আমার! তুমি যখন এ চিঠিটি পড়ছো তার অর্থ হলো সবকিছু ঠিকমতোই হয়েছে এবং তুমি সুস্থ আছো যেমনটি আমি বলেছিলাম…
মনে আছে? একদিন তুমি প্রশ্ন করেছিলে, তোমার ১৫তম জন্মদিনে আমি তোমাকে কি উপহার দিবো। তখন আমি জানতাম না কি দিবো…
কিন্তুযখন তুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে তখনই আমি বুঝলাম তোমাকে আমি কি দিতে পারি… তাই তোমার জন্যে আমার উপহার আমার একমাত্র হার্ট….. আমিতোমাকে এর থেকে কম ভালোবাসি না…..”
.
.
.
.
বাবা-মা’কে আমরা কখনো যেন ভুলেও কোন কষ্ট না দেই…..
কারন, তারাই আমাদের ছোটবেলায় সব কষ্ট থেকে আগলে রেখেছিলেন…

Post a Comment